প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন ভোট কারচুপি হয়েছে,তাই তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন না। কিন্তু হার মানতে না পেরে বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে যে ভাবে হামলা চালালেন তাতে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব।
এই ঘটনায় ঘরে বাইরে চরম নিন্দিত হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরেই এত বড় হামলা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ কয়েক দিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ।ইন্সটাগ্রাম কর্তৃপক্ষ ও তাঁর অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, দেশের লজ্জা বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ডোলান্ড ট্রাম্পই, উস্কানি তিনিই দিয়েছেন। ওবামার কথায়, “উনি একটানা নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার করে গিয়েছেন। এই হিংসা তাঁরই ফল।”
মার্কিন কংগ্রেসে হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বরিস জনসন। মেদি ট্যুইটারে লিখেছেন, “গোটা ঘটনা দেখে স্তম্ভিত। গণতন্ত্রে এই আইনবিরুদ্ধ বিক্ষোভপ্রদর্শন চলতে পারে না।”
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন রিপাবলিকান জর্জ বুশ বলেছেন, কৃত্রিম গণতন্ত্রে এমনটা হয়। আমেরিকায় এমনটা মানা যায় না। ঘটনার নিন্দা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। তাঁর কথায় এই দৃশ্য কুৎসিত।
ফরাসি বিদেশ মন্ত্রী জ্য ইউঙেস লে দ্যারিয়ান বলেছেন, এটা গণতনন্ত্রে আঘাত। তীব্র নিন্দা জানাই এই ঘটনার।
জার্মান বিদেশমন্ত্রী হেইকোমাস ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন,প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর ভক্তরা নির্বাচনী ফল মেনে নিন। গণতন্তেরে পদাঘাত বন্ধ করুন।
প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটছে ২৩২ টি ভোট ও অপর প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথী জো-বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ভোট।
যেদিন থেকে ভোটগণনা এবং নির্বাচনী ফলাফল সামনে এসেছে ট্রাম্প কারচুপির অভিযোগ তুলে এসেছেন। একাধিক মামলা করে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট খুব একটা কিছু করে উঠতে পারেননি। এর পরেই বুধবারের একটি জনসভায় ট্রাম্প জিগির তোলেন, আমরা পিছু হটব না।
তার ভাষণের পরেই রাস্তায় নেমে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা।বৃহস্পতিবার জয়ের শংসাপত্র পাওয়ার কথা জো বাইডেনের। তারই আগে ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে বলপূর্বক ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। ভাঙা হয় ব্যারিকেড, যাবতীয় নিরাপত্তা বলয়। ভাঙচুর শুরু হয় ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ের অন্দরে।