সুইটি মণ্ডল,৯,ফেব্রুয়ারি: এক এর পর এক খোরগ নামছে মায়ানমারের জনগণের ওপর।ফেসবুকের পর এবার টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জান্তা সরকার। সামরিক সরকার শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারনেট পরিষেবার সমস্ত সরবরাহকারীদের টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রাখতে বলেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক বন্ধ করে দেয় জান্তা সরকার।
মায়ানমারের ৫ কোটি ৪০ লক্ষ্য মানুষ ফেসবুক ব্যাবহার করে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কঠোরতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দেশের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ে মায়ানমার সরকারের কঠোর অবস্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টেলিনর।একে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলছে নরওয়ে ভিত্তিক কোম্পানিটি।ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধিনিষেধ দিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে”।
ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু করতে দেশের শাসকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার ভোরে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিল অং সান সু চি , আইনপ্রণেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। এবং তার পর থেকেই নতুন নতুন বিধিনিসেক আরোপ করে আসছে সামরিক সরকার। সু চি কে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। রাজধানী নাইপিদো , ইয়াঙ্গুনসন ছোট বড় অনেক শহরেই নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ।