নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ গত 11 ই ফেব্রুয়ারি দশটি বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা নবান্ন অভিযানে গেলে সেখানে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন DYFI নেতা মইদুল হোসেন মিদ্দা।গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।পরে গত 15 তারিখ বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের মাইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু হয় । তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে ।
কর্মী মৃত্যুর প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মীসমর্থকরা গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন । পুলিশের এহেন নির্মম লাঠিচার্জের নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে ।
সে মতই মঙ্গলবার বিকেলে ইন্দাসে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল করে ইন্দাস বাজার পরিক্রমা করে ইন্দাস থানার সামনে জমায়েত হন এবং সেখানে থানা ঘেরাও কর্মসূচি ও পথ অবরোধের শামিল হল তারা । বেশ কিছুসময় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা পথ অবরোধের জেরে যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয় । সিপিআইএম কর্মীসমর্থকরা দাবি তোলেন মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
ইন্দাস DYFI লোকাল কমিটির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন , পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই এবং মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবারের সকল ভার রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে তিনি দাবি তোলেন ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এবং পরিবারকে একটি চাকরি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ।