কৌশিক সালুই ও নরেশ ভকত,বাঁকুড়া-বীরভূম 24 জানুয়ারি:-ভিক্টোরিয়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী স্মরণে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে অপমান করায় বীরভূমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো তৃণমূল কংগ্রেসের। রবিবার দুবরাজপুর ব্লকের লোবা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা দহন করা হলো।
রবিবার দুপুরের দিকে বাইক মিছিল এর মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।বাইক মিছিল শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা তে জুতোর মালা পরিয়ে দাহন করা হয়। এই কর্মসূচি লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমুরি গ্রামের পটল বাজার থেকে শুরু হয়ে গোটা পঞ্চায়েত এলাকা গ্রামগুলো ঘুরে জোপলায় স্কুল মোড়ে শেষ হয়।
আজকের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর বিধানসভার তৃণমুল বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলন বাগদি, তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল ঘোষ, পিনাকী চক্রবর্তী, কাসেমুল হক সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
বিক্ষোভ স্থান থেকেই বিধায়ক নরেশ বাউরি বলেন,” বাংলা তথা দেশের গর্ব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী কে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি”।
একইসঙ্গে বাঁকুড়াতে রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁকুড়া থেকে অমিত মালব্য কে অশিক্ষিত অপদার্থলোক বলে আক্রমণ করলেন সাংসদ।
রবিবার বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ে তৃনমূল যুব কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,অমিত মালব্য একটি অশিক্ষিত অপদার্থ লোক বলে একথা বলেন। বাইরের থেকে তিনি এসে কি করে জানবেন বাংলার সেন্টিমেন্ট। লজ্জা করেনা। অপসংস্কৃতির ধারক বাহক। তিনি একটা ইন্টেলেকচুয়াল ক্রিমিন্যাল।
শুধু তাই নয়, নেতাজীকে নিয়ে রাজনীতি করা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”দিলীপ ঘোষকে এমন ভাবে টেনে রেখেছে যে তার বাবারই ক্ষমতা নেই তাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার”।
একই সাথে সরকারি অনুষ্ঠানে দলীয় শ্লোগান নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”সরকারী অনুষ্ঠানে এসে নরেন্দ্র মোদীর সামনে তাদের রাজনৈতিক শ্লোগান দিচ্ছে আর প্রধানমন্ত্রী চুপ করে বসে আছে এর থেকে লজ্জা ভারতবর্ষে আর কিছু হতে পারেনা”।