নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃআজ পৌষ সংক্রান্তি। পৌষ মাসের সংক্রান্তি ধরে হয় এই পৌষ পরব।এই পরব বাঙ্গালিদের অন্যতম এক পরব।তবে এটি শুধু পরবই নয় গোটা সনাতন ধর্মীয় মানুষের কাছে এক ধর্মীয় আবেগ ও বটে।বেশির ভাগ মানুষই আজকের দিন থেকে গঙ্গার পূর্ণ স্নানের উদ্দেশে রওনা দেয়।পূর্ণ স্নানের পায় পূর্ণতা।তবে গ্রামীন পরিবেশে আবার এই পরব পালিত হয় আনন্দ উন্মাদনার মধ্যে দিয়ে।
সেই উপলক্ষেই আজ বাঁকুড়া জেলার সর্বত্রই বসেছে মেলা।এই মেলায় মেতেছেন আট থেকে আশি সবাই। সেই মতো বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া থানার দামোদর তীরবর্তী দুই গ্রাম পুড়োকোন্দা ও রাজমাধবপুর শ্মশান মন্দিরকে কেন্দ্র করে বসলো মেলা।এই মেলাতে বেশ কিছু দোকানদানি ও বসে।মেলায় কীর্তনের ও আয়োজন করা হয়েছে।তবে এই মেলা শুধু এক দিনের জন্যই হয়।
সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শ্মশান মেলার সদস্য মানবেন্দ্র রুইদাস বলেন,’রাজমাধবপুর ও পুড়াকোন্দার এই শ্মশানমন্দিরকে কেন্দ্র করে এক মেলা বসে এখানে।আমাদের এখানে নরনারায়ন সেবারও আয়োজন করা হয়েছে।পার্শবর্তী তাজপুর,শীতলপুর,ব্রাহ্মনডিহা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য পূর্নার্থী এই সেবায় অংশ নেয়।এই বছর এই শ্মশান মেলা তৃতীয় বছরে পদার্পন করলো।আমাদের এই মেলা খুব সুন্দর ভাবে,সুষ্ঠ ভাবে সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এ মেলা এক অন্য চেহারা নেয়’।
অপরদিকে,আজ মকর সংক্রান্তির টুসু পরব উপলক্ষে জয়পুর সমুদ্র বাঁধের পাশে প্রতিবছরের মতো এবছর ও মকর স্নান করতে জয়পুর ঢোলসমুদ্র মানুষ ভিড় জমান।এছাড়াও সমুদ্র বাঁধের পাশে মেলা বসে।
বিল্লো নারান ও ভৈরব মন্দিরে সকাল থেকেই শুরু হয় সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে পুজো-অর্চনা।পুজোর প্রসাদ রূপে থাকে খিচুড়ি ভোগ ।বহু মানুষ বহু দূর দূরান্ত থেকে এই মেলা দেখতে ও মায়ের পূজোর প্রসাদ খাওয়ার জন্য ছুটে আসেন।
কিন্তু এবছর করোনা মহামারী এখনো পিছু ছাড়েনি তবুও বাঁকুড়ার জয়পুরের গরিব ওবিসি সম্প্রদায় সম্প্রদায় ও এস সি,এস টি সম্প্রদায়ের মানুষজন এর বেশি বসবাস তাই এই টুসু পরব এখানের সবচেয়ে বড় উৎসব হিসাবে পরিচিত। দীর্ঘ কয়েক শতবর্ষ ধরে এই মেলা হয়ে আসছে বলে জানান বিল্লো নারায়ন ও ভৈরব মন্দিরের পূজারী।