বাংলার রাজনীতিতে অনেকদিনই হল অশালীনতার ধারাবাহিকতা চলছে। সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি– কোনও দলকেই তা থেকে আলাদা করা যাবে না। শুক্রবার বড়দিনে কু কথা বলায় নিজের নামের পাশে আরও কিছুটা নম্বর বাড়িয়ে নিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
কয়েকদিনে আগে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে সভা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সেই কেতুগ্রামেই পাল্টা সভা করেন অনুব্রত। বর্ধমানের কেতুগ্রাম আর মঙ্গলকোট এই দুটি বিধানসভা পড়ে বোলপুর লোকসভার মধ্যে। তাই তাঁরই দায়িত্বে এই দুই এলাকা।
এদিন কেতুগ্রামের সভায় অনুব্রত বলেন, “এরপর যদি দিলীপ ঘোষ কেতুগ্রামে এসে উল্টাপাল্টা বলে তাহলে প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।”ওনি বেশ কয়েকদিন ধরেই দলনেত্রীর নাম বেশ কু-মন্তব্য করছে,তৃণমুল গান্ধীজির আদর্শে আদর্শিত দল, কিন্তু কেউ যদি সেটাকে কমজড়ি ভেবে থাকে তাহলে তাকে বলছি এর পর বীরভূমে এসে ভুলভাল মন্তব্য করলে “জামা-প্যান্ট খুলে”বাড়ি পাঠিয়ে দেব।
দিলীপের পাশাপাশি সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও ছিলেন অনুব্রতর নিশানায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একাধিকবার তৃণমূলে সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁকে সরব হতো শোনা গিয়েছে। শুভেন্দুর প্রসঙ্গ টেনেই পাল্টা অনুব্রত বলেন, মন্ত্রী ছিলে ১০ বছর। ভাল লুটে-পুটে খেয়েছো। বড় বড় পদে ১৮টা সম্পাদক ছিলে। তখন কেন ছেড়ে দিলে না। তখন কেন বললে মন্ত্রী হব না! তখন লজ্জা লাগছিল, কষ্ট হয়েছিল না!’ কেষ্টর আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য নিয়ে রোজগার করে নিয়েছেন শুভেন্দু।
অনুব্রতর কথায়, ‘তুমি রোজগার করে নিয়েছো দিদিকে ভাঙিয়ে। আল্লাহ-ঈশ্বর বা মানুষ কিন্তু তোমার খাতির করবে না।’ সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের তিনি হুমকির সুরে বলেন, দিলীপ ঘোষ যদি বুকের পাটা থাকে তবে উনি আরেকটা জনসভা করে দেখান কেতুগ্রামে এসে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যতই ২০০-র বেশি আসন পাওয়ার দাবি করুক না কেন, তৃণমূল ২২০-২৩০টি আসনই পাবে বলে এদিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান অনুব্রত।