স্বাগতা পতি, ২১ শে জানুয়ারি: বেতুলে এক ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষনের পর পাথর দিয়ে মেরে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ। অন্য দিকে ইন্দরে ১৯ বছরের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে, ছুরি দিয়ে আঘাত করে ফেলে দেওয়া হয় রেল লাইনে। দু ক্ষেত্রেই কোনোভাবে প্রাণে বাঁচলেন নির্যাতিতারা।
বেতুলের ঘটনায় নির্যাতিতা গ্রামের খামারে গিয়েছিল মোটর বন্ধ করতে। সেই সময় তাকে গণধর্ষণ করে, পাথর দিয়ে আঘাত করে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হয় পাথরের স্তূপে। অনেকক্ষণ পরও বাড়িতে মেয়ে না ফেরায় পরিবারের লোকেরা মেয়ের খোঁজ করতে যায়। সন্ধানের সময় নির্যাতিতার আর্তনাদ শুনতে পেয়ে পাথরের স্তূপ থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৫ বছরের এক স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে তফসিলি, উপজাতি নিরাপত্তা আইনেও।
অপরদিকে ইন্দোরের ঘটনায় নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক তাঁকে একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে বন্ধুদের সাথে মিলে গণধর্ষণ করে। যুবতী ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে, ধর্ষকরা তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে বস্তায় ভরে রেল লাইনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। কোনরকমে সেই বস্তার বাঁধন ছিড়ে বেরিয়ে যায় নির্যাতিতা।
তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা কোচিং সেন্টারে পড়তে যাওয়ার সময় তাঁকে তুলে নিয়ে যায় প্রধান অভিযুক্ত ও তাঁর বন্ধুরা। ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়, বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
একদিকে মধ্যপ্রদেশের সরকার যখন নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ সম্মান প্রচার প্রকল্প চালাচ্ছে, অন্যদিকে একের পর এক ধর্ষনের ঘটনা ঘটে চলেছে। গত সপ্তাহের ১৩ বছরের নাবালিকাকে ৯ জন মিলে গণধর্ষণ করে ৫ দিনের ব্যবধানে। তা নিয়েও যথেষ্ঠ আলোড়ন পড়েছিল।