গোটা রাজ্য জুড়েই কার্যত চলছে নির্বাচনের দামামা।যদিও কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে রাজনীতির কোনো স্থান ছিল না,কিন্তু কালে কালে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংকটে রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতী।বর্তমানে রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্র।নতুন বছরে গোটা শনিবার যা ঘটলো তা কার্যত শান্তিনিকেতনের ইতিহাসে বিরল।
সকালেই শুরু ‘ভিসি গো ব্যাক’ ।এই ধ্বণি তুলে বিক্ষোভ শুরু করে পড়ুয়াদের। এরপর শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তা রাজ্য সরকার ফেরত নেওয়ার বিরুদ্ধে ছাতিমতলায় গিয়েও অবস্থানে ছাত্র বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেন উপাচার্য।
শুনলেন ‘উপাচার্য দূর হঠো’ ধ্বনি।এরপর বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ছাতিমতলায় ঢুকতে গেলে সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রদের বাধা দেয়।তাতে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে হবে।একসময় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয় এলাকা। এরপরেই পড়ুয়ারা মাটিতে বসে পড়ে চূড়ান্ত বিক্ষোভে সামিল হন। পড়ুয়াদের গলায় ছিল ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ গানের সূর। হাতে ছিল পোস্টার।
বিক্ষোভরত প্রত্যেক পড়ুয়াদের পোস্টারে লেখা ছিল.
*অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে’, ‘ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বিশ্বভারতী বাঁচান, তবেই রবীন্দ্রনাথ বাঁচবে’।
*, ‘অধ্যাপক সুদীপ ভট্টাচার্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে’।
* হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন কে প্রশ্রয় দিয়ে বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না’।
এদিন বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়ারা ছাতিমতলা থেকে উপাচার্যের বের হওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে পরে উপাচার্যকে অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতে হয়েছে। এদিন ছাতিমতলায় পছন্দের অধ্যাপক, কর্মীদের নিয়ে রাস্তা ইস্যুতে মৌন অবস্থানে বসতে গিয়ে এভাবে পড়ুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়া নিঃসন্দেহে উপাচার্যের কাছে অস্বস্তিদায়ক ।