করোনা মহামারি কালে কার্যত 6 মাসের ও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল ভারতীয় রেল পরিষেবা।সেই বিরতির মাঝেই শিয়ালদা স্টেশনে গড়ে তোলা হয়েছে ঝাঁ চকচকে লাউঞ্জ। প্রথম দর্শনেই যা দূরপাল্লার যাত্রীদের আকৃষ্ট করেছে। ট্রেন ছাড়ার আগে মোলায়েম সোফায় খানিক জিরিয়ে নিয়ে টিভির পর্দায় চোখ রেখে গরম চা বা কফিতে চুমুক দেওয়ার আদর্শ ঠিকানা যাকে বলে।
এদিন খানিকটা সেইরকম ইচ্ছে নিয়েই এদিন স্টেশনের লাউঞ্জে ঢুকে এক কাপ কফি অর্ডার করেছিলেন সুব্রত বিশ্বাস নামের যাত্রী। কিন্তু প্রথম চুমুকেই কফির সঙ্গে একটি আস্ত মরা মাছি ঢুকে গেল তাঁর মুখে।
সেই কফির দামও আবার ২৫০ টাকার সামান্য বেশি। গ্যাঁটের এতগুলো কড়ি খরচ করে কফির মরা মাছি মুখে ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেই যাত্রী। লাউঞ্জে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি আইআরসিটিসির গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র ও শিয়ালদহের ডিএম এসপি সিংকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে দুজনেই লাউঞ্জের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এহেন ঘটনায় কার্যত তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে শিয়ালদার ওই পাঁচতারা লাউঞ্জ।
সম্প্রতি শিয়ালদা স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার উন্নয়নের স্বার্থে নানা ব্যবহার্য বিষয় চালু হয়েছে। যার মধ্যে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের সুবিধা রয়েছে। লাউঞ্জটি আইআরসিটিসি পরিচালিত হলেও একটি বেসরকারি সংস্থাকে এর বরাত দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মানের পরিষেবার পরিবর্তে উচ্চ দামও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এত টাকা নেওয়া সত্ত্বেও যদি পরিষেবার এমন বেহাল দশা হয়,তাহলে আগামী দিনে মানুষ ওই পাঁচতারা লাউঞ্জ-এর প্রতি কতটা বিশ্বাস রাখবে সেটাই প্রশ্নের।