কেন্দীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন ‘জগন আন্না থোড়ু’ প্রকল্পের। এই প্রকল্পে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলতে পারে। করোনা আবহে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা ও সমাজের দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতেই এই প্রকল্প চালু করেছিলেন তিনি। সেই প্রকল্পের আওতাতেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার ভুয়ুরু নগর পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন মানুষ। কিন্তু একাধিক ব্যাংক ঘুরেও ঋণ না পাওয়ায়, সেই ব্যাংকগুলোর শাখার সামনেই ময়লা আবর্জনা ফেলে গেলেন ঋণের আবেদনকারীরা। আবর্জনা ফেলায়পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে, ব্যাংকের শাখাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধও করে দিতে বাধ্য হন আধিকারিকরা। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ‘জগন আন্না থোড়ু’ প্রকল্পের আওতায় ঋণ পাওয়ার আরজি জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন কর্মী। কিন্তু বারেবারেই ব্যাংকের ম্যানেজার তাঁদের সেই আবেদন বিভিন্ন কারন দেখিয়ে খারিজ করে দেন। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে চারটি ব্যাঙ্কের সামনে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে দেয় ওই ঋণ আবেদনকারীরা। অন্ধ্র ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া , কর্পোরেশন ব্যাংক এবং সিণ্ডিকেট ব্যাংকের সামনে আবর্জনার গাড়ি থেকে ময়লা ফেলে দেন তাঁরা। ফলে দুর্গন্ধের কারণে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে কাজ। ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য প্রায় ঘণ্টাদুয়েক প্রতিবাদও জানান তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার বলেন, ‘‘কয়েকজন যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় ব্যাংক থেকে ঋণ পাননি, তাঁরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। খবর পেয়েই আমাদের কর্মীরা ওই আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে দিয়েছেন।’’ তবে এধরনের প্রতিবাদ দেখে অনেকেই কিন্তু অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ সমর্থন জানালেও, অনেকেই আবার অন্য গ্রাহকদের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ঘটনার সমালোচনাও করেছেন। এদিকে, এই ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে বিরোধী দল টিডিপি। তবে যাই হোক, প্রতিবাদের অভিনবত্ব দেখে দিবিভক্ত নেটিজনরা।কিছু মানুষ অন্যের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কথা বলছে,তো কিছু মানুষ এর সমর্থন করছে।তাদের বক্তব্য ব্যাঙ্কে গেলে ঋণ না দেওয়া টা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের স্বভাব এ পরিণত হয়েছে।উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে ওই কর্মীরা।