নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গতকালই বোলপুরে দীর্ঘ 4 কিমি পদযাত্রার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য জনসভায় অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব হন।জনসভা থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন । তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর ভিসি পদে আর কাউকে খুঁজে পায়নি। বিজেপির ছাপ দেওয়া লোককেই খুঁজে খুঁজে বসানো হয়েছে। বিশ্বভারতীকে একটা হিংসার জায়গায় পরিণত করা হয়েছে।
মমতায় সমালোচনার পাল্টা দিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বলেন, ‘অমর্ত্য সেনের বই পড়ে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁকে হেনস্থা করার উদ্দেশ্য বিশ্বভারতীর নেই।এটা মনগড়া খবর। অডিটে কিছু অবজেকশন এসেছে, ৭৭ একর জমি কব্জা হয়েছে।সেই জমির মধ্যে কিছু মানুষের জমি আছে। কাউন্সিলে আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।অডিট রিপোর্টে অমর্ত্য সেনের ও নাম আছে। বিশ্বভারতী এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্য নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। ‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকলেও উপাচার্য বিজেপি এমনটা নয়। বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের ধর্ম পালন করছি। তিনি বলেছেন, বিশ্বভারতীর কিছু ঘটনা অনভিপ্রেত। বিশ্বভারতীকে বিশ্ব ভারতী করার চেষ্টা করছি। বিশ্বভারতীর উন্নতিতে কাজ করে চলেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে কবিগুরুর চেয়ারে বসানোর বিতর্কের জবাবে তিনি জানান , “রবীন্দ্র ভবনে চেয়ার নয় জানালার এজে গদি দিয়ে বসানো হয় অমিত শাহকে”। এখানে বসেছিলেন জওহরলাল নেহরু, শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ বিতর্কে উপাচার্য বলেছেন, ‘৪ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। বোলপুরে মমতা এসেছিলেন, দেখা করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলাম। মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে, সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।‘আমফানের পর মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।’ উপাচার্য বলেছেন, ‘৭৭ একর কব্জা করা জমির মধ্যে আরও অনেক বিখ্যাত মানুষের নাম রয়েছে। রাস্তা সংস্কার করেছে বিশ্বভারতী। রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করেছি।রাস্তার পাশে আনন্দ পাঠশালা আছে। ছুটির পর বাচ্চার ছোটাছুটি করে, নিরাপত্তার জন্য মাঝেমধ্যে রাস্তা বন্ধ করেছি। শিক্ষাভবনের পর রাস্তা মেরামতি হয়েছে, এর কিছু কিছুটা মেরামতি করতে বাকি আছে ।
যদিও এদিন তিনি পুনরায় রাজ্য সরকার বিশ্বভারতী কে দেওয়া রাস্তা ফিরিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।