যাদবপুরের পর ফের একবার বিতর্কের মুখে উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া শ্রী চৈতন্য কলেজ।কলেজের অধ্যক্ষকে ‘নিচুজাত’ বলে হেনস্থার অভিযোগ উঠলো কলেজেরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
সোমবার হাবড়া (Habra) প্রফুল্ল নগরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বারাসত আদালতে তোলা হলে তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রায় এক মাস আগে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রমোহন মণ্ডলকে অন্ত্যজ শ্রেণির বলে বিদ্রুপ করেন অধ্যাপক অলোককুমার চক্রবর্তী। কলেজের অধ্যাপকদের গ্রুপেই তাঁকে হেনস্তাসূচক মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষ। তার জেরে তদন্ত শুরু করেন বারাসাত ডিএসপি হেডকোয়ার্টার রোহিত শেখ। তারপর হাবড়া থানাকে সোমবার ইতিহাসের অধ্যাপক অলোক কুমার চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযোগ, কলেজের অধ্যাপকদের গ্রুপে এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন সহকর্মী। কিন্তু অলোকবাবু তার জায়গায় অনড় ছিলেন। অভিযোগকারী অধ্যক্ষ বলেছেন, ‘‘একজন শিক্ষক যদি আর একজন শিক্ষকের প্রতি এ রকম কথা বলেন ও কুৎসিত মন্তব্য করেন, তা হলে ছাত্ররা কি শিখবে? সেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’ ওই কলেজের কয়েকজন অধ্যাপক বলেন, “আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অধ্যক্ষকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমরা সরিয়ে নিতে বলেছিলাম অলোকবাবুকে। কিন্তু তিনি তা মানেননি।”
অধ্যক্ষকে ‘নিচু জাত’ বলে হেনস্তা,গ্রেফতার শ্রী চৈতন্য কলেজের অধ্যাপক।
একজন অধ্যাপক কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে তোলপাড় শিক্ষামহল।
Sourceনিজস্ব প্রতিনিধি